সড়ক পরিবহন নিয়ম কানুন

আমাদের দৈনন্দিন জীবন গাড়ি চালানো, হাঁটা, রাস্তা পার হওয়ার সময় আমাদের সর্বদা ট্রাফিক আইন মেনে চলা উচিত। ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার নিয়ম: একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা

১. গতির সীমা

  • আবহাওয়া, ট্র্যাফিক এবং রাস্তার অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পোস্ট করা গতি সীমা মেনে চলুন।
  • যানজট রোধ করতে খুব ধীরে গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন।

২. ট্র্যাফিক সিগন্যাল এবং চিহ্ন

  • লাল/হলুদ/সবুজ বাতি: লাল রঙে থামুন, হলুদ রঙে থামার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং সবুজ রঙে এগিয়ে যান।থামার চিহ্ন: সম্পূর্ণ থামুন; শুধুমাত্র নিরাপদ হলেই এগিয়ে যান।
  • ছাড়ের চিহ্ন: গতি কমিয়ে অন্যদের পথের অধিকার দিন।
  • ঝলকানি লাইট: লাল (স্টপ সাইন হিসেবে বিবেচনা করুন), হলুদ (সাবধানতার সাথে এগিয়ে যান)।

৩. পথের অধিকার

  • চৌরাস্তায়, প্রথম থামানো গাড়িটি প্রথমে যায়। যদি বাঁধা থাকে, তাহলে ডান দিকের গাড়িটি এগিয়ে যায়।
  • ক্রসওয়াক এবং বাম দিকে মোড় নেওয়ার সময় আসন্ন ট্র্যাফিকের সময় পথচারীদের জন্য ছাড় দিন।

৪. সিট বেল্ট

  • সকল যাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক; কিছু অঞ্চলে পিছনের সিটের যাত্রীদের বাকল বাঁধতে হবে।

৫. বিক্ষিপ্ত ড্রাইভিং

  • হ্যান্ডস-ফ্রি ছাড়া ফোন ব্যবহার (টেক্সটিং/কলিং) এড়িয়ে চলুন। অনেক বিচারব্যবস্থা হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের শাস্তি দেয়।
  • গাড়ি চালানোর সময় খাওয়া বা নিয়ন্ত্রণ সামঞ্জস্য করার মতো কার্যকলাপ কমিয়ে আনুন।

৬. অসুস্থ ড্রাইভিং

  • আইনি রক্তে অ্যালকোহলের সীমা সাধারণত ≤0.08% (বাণিজ্যিক চালকদের জন্য কম)।
  • কিছু এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের জন্য শূন্য-সহনশীলতা নীতি।

৭. লেন শৃঙ্খলা

  • টার্ন সিগন্যাল ব্যবহার করুন, লেনে থাকুন এবং বাম দিক দিয়ে যান।
  • মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন ডানদিকে থাকে।

৮. স্কুল জোন এবং বাস

  • স্কুল জোনে গতি কমিয়ে দিন; লাল বাতি জ্বলন্ত বাসের জন্য থামুন (উভয় দিকই যদি না একটি মধ্যমা দ্বারা পৃথক করা হয়)।

৯. পার্কিং নিয়ম

  • হাইড্রেন্টের কাছে, পারমিট ছাড়া প্রতিবন্ধী স্থানে বা নো-পার্কিং জোনে পার্কিং এড়িয়ে চলুন।
  • রাস্তা পরিষ্কারের সময়সূচী এবং সমান্তরাল পার্কিং নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।

১০. গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ

  • ব্রেক, লাইট এবং টায়ার কার্যকর আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। কিছু অঞ্চলে পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন প্রয়োজন।

১১. জরুরি যানবাহন

  • সাইরেন বা লাইট চালু থাকলে ডানদিকে ঘুরুন এবং থামুন। সম্ভব হলে ছেদগুলি পরিষ্কার করুন।

১২. নিম্নলিখিত দূরত্ব

  • ২-৩ সেকেন্ডের ব্যবধান বজায় রাখুন; প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বৃদ্ধি করুন।

১৩. হেডলাইট এবং দৃশ্যমানতা

  • অন্ধকার, বৃষ্টি বা কুয়াশায় হেডলাইট ব্যবহার করুন। আসন্ন যানবাহনের জন্য উচ্চ বিম কমিয়ে দিন।

১৪. রেলপথ ক্রসিং

  • লাইট জ্বললে বা গেট নিচু হলে থামুন; ট্র্যাকে কখনও থামবেন না।

১৫. পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া

  • বৃষ্টি, তুষার বা বরফে গতি কমিয়ে দিন; রাতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

১৬. আইন প্রয়োগকারী সম্মতি

  • নির্দেশিত হলে নিরাপদে গাড়ি চালান; শান্ত থাকুন এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

১৭. বিশেষ বিবেচ্য বিষয়

  • মোটরসাইকেল/বাইসাইকেল: ট্রাফিক আইন মেনে চলুন; কিছু অঞ্চলে হেলমেট প্রয়োজন।
  • টোল রাস্তা/কারপুল লেন: টোল প্রদান এবং যাত্রীদের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলুন।
  • লাল রঙের উপর ইউ-টার্ন এবং ডানদিকে: বিধিনিষেধের জন্য স্থানীয় আইন পরীক্ষা করুন।

১৮. পরিণতি

  • জরিমানা, লাইসেন্স পয়েন্ট, বর্ধিত বীমা, সাসপেনশন, অথবা গুরুতর অপরাধের জন্য জেল অন্তর্ভুক্ত।

বিঃদ্রঃ: ট্রাফিক আইন এখতিয়ার অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সম্মতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা স্থানীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে নিজেকে পরিচিত করুন। নিরাপদ ড্রাইভিং রাস্তায় সকলকে রক্ষা করে!

Leave a Comment